বেসরকারি ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% আসনই খালি
আসন সংখ্যার অনুপাতে শিক্ষার্থী পাচ্ছে না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে, যেগুলোর মোট আসনের বড় একটি অংশ খালি থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদনে এ ধরনের বেসরকারি ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র উঠে এসেছে, যেগুলোর ৭০ শতাংশ আসনই খালি। আসন খালি থাকার কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মানসম্মত শিক্ষার অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ইউজিসি এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখছে উচ্চশিক্ষার প্রতিবন্ধক হিসেবে।
ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আসন রয়েছে ৩ হাজার ২০০টি। এর বিপরীতে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন ২১৮ জন, মোট আসনের যা মাত্র ৭ শতাংশ। এ হিসাবে ৯৩ শতাংশ আসনই খালি পড়ে আছে। ওই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পুরোটাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের। অন্য কোনো বিভাগে শিক্ষার্থী পায়নি ইস্ট ডেল্টা।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আসন সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৭৫। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হন ২ হাজার ৯৬৪ জন; মোট আসন সংখ্যার হিসাবে যা মাত্র ১৬ শতাংশ। একই বছর প্রতিষ্ঠিত মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ১ হাজার ২২৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী পেয়েছে ৩০৪ জন বা ২৪ শতাংশ। এছাড়া সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ৩৫০ আসনের বিপরীতে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী পায় ৪৫ জন বা ১৩ শতাংশ। এছাড়া ওয়ার্ল্ভ্র ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ৬ হাজার ৭৫০ আসনের বিপরীতে ওই শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হন ১ হাজার ৭৯৯ জন, মোট আসনের যা ২৭ শতাংশ। একই পরিস্থিতি দারুল ইহসান ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রেও। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পায় আসনের ২৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, সরকার যত্রতত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিচ্ছে। এ সুযোগে শিক্ষার মান নিশ্চিত না করেই অনেকে ব্যবসায় নামছে। মানসম্মত শিক্ষা দিতে না পারায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীও পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গাফিলতির কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতায় তাদের ভবিষ্যত্ হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সরকারেরও উচিত শিগগিরই এগুলোর মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থী সংকটে আছে। এর মধ্যে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটিতে গত বছর বিভিন্ন সেমিস্টার মিলে শিক্ষার্থী ভর্তি হন মাত্র ৬০ জন, মোট আসনের যা ১৫ শতাংশ। এছাড়া হামদর্দ ইউনিভার্সিটি আসনের ২৭ শতাংশ বা ৭৬ জন ও ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২৩ শতাংশ বা ৮০ জন শিক্ষার্থী টানতে সমর্থ হয়।
মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর এএএম ভুঁইঞা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের দাবি জানানো হলেও মালিকপক্ষ সেগুলো পূরণ করে না। হোস্টেল, উন্নত বিজ্ঞানাগারের মতো বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছে তারা। এসব কারণে শিক্ষার্থীও সেভাবে আসছে না।
সরেজমিনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থী না থাকলেও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম চলে বছরজুড়েই। ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য। প্রতিটি কোর্সে শিক্ষার্থীর আসন পূরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়। শিক্ষার্থী টানতে গতানুগতিক ছাড়ের বাইরেও বিভিন্ন উপলক্ষে ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে। এর পরও কাজ না হলে সরাসরি কমানো হচ্ছে টিউশন ফি।
যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হার এক হবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে শিক্ষার মান, ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রসারের মাধ্যমে তা বাড়ানো সম্ভব। আমরা চাই, সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়ন করে ন্যূনতম শিক্ষার্থী হার পূরণ করুক। অনুমোদনের শর্ত পূরণে কেউ ব্যর্থ হলে ইউজিসি প্রাথমিক পদক্ষেপ নেবে। তার পরও কাজ না হলে মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই আছে, যেগুলোর মোট আসনের বড় একটি অংশ খালি থাকছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদনে এ ধরনের বেসরকারি ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র উঠে এসেছে, যেগুলোর ৭০ শতাংশ আসনই খালি। আসন খালি থাকার কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মানসম্মত শিক্ষার অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ইউজিসি এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখছে উচ্চশিক্ষার প্রতিবন্ধক হিসেবে।
ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য আসন রয়েছে ৩ হাজার ২০০টি। এর বিপরীতে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন ২১৮ জন, মোট আসনের যা মাত্র ৭ শতাংশ। এ হিসাবে ৯৩ শতাংশ আসনই খালি পড়ে আছে। ওই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের পুরোটাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের। অন্য কোনো বিভাগে শিক্ষার্থী পায়নি ইস্ট ডেল্টা।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আসন সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৭৫। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী ভর্তি হন ২ হাজার ৯৬৪ জন; মোট আসন সংখ্যার হিসাবে যা মাত্র ১৬ শতাংশ। একই বছর প্রতিষ্ঠিত মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ১ হাজার ২২৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী পেয়েছে ৩০৪ জন বা ২৪ শতাংশ। এছাড়া সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি ৩৫০ আসনের বিপরীতে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী পায় ৪৫ জন বা ১৩ শতাংশ। এছাড়া ওয়ার্ল্ভ্র ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ৬ হাজার ৭৫০ আসনের বিপরীতে ওই শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হন ১ হাজার ৭৯৯ জন, মোট আসনের যা ২৭ শতাংশ। একই পরিস্থিতি দারুল ইহসান ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রেও। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী পায় আসনের ২৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, সরকার যত্রতত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দিচ্ছে। এ সুযোগে শিক্ষার মান নিশ্চিত না করেই অনেকে ব্যবসায় নামছে। মানসম্মত শিক্ষা দিতে না পারায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীও পাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গাফিলতির কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতায় তাদের ভবিষ্যত্ হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সরকারেরও উচিত শিগগিরই এগুলোর মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করা।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষার্থী সংকটে আছে। এর মধ্যে ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটিতে গত বছর বিভিন্ন সেমিস্টার মিলে শিক্ষার্থী ভর্তি হন মাত্র ৬০ জন, মোট আসনের যা ১৫ শতাংশ। এছাড়া হামদর্দ ইউনিভার্সিটি আসনের ২৭ শতাংশ বা ৭৬ জন ও ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২৩ শতাংশ বা ৮০ জন শিক্ষার্থী টানতে সমর্থ হয়।
মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর এএএম ভুঁইঞা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের দাবি জানানো হলেও মালিকপক্ষ সেগুলো পূরণ করে না। হোস্টেল, উন্নত বিজ্ঞানাগারের মতো বিভিন্ন মৌলিক চাহিদা পূরণ করতেও ব্যর্থ হচ্ছে তারা। এসব কারণে শিক্ষার্থীও সেভাবে আসছে না।
সরেজমিনে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থী না থাকলেও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম চলে বছরজুড়েই। ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য। প্রতিটি কোর্সে শিক্ষার্থীর আসন পূরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়। শিক্ষার্থী টানতে গতানুগতিক ছাড়ের বাইরেও বিভিন্ন উপলক্ষে ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে। এর পরও কাজ না হলে সরাসরি কমানো হচ্ছে টিউশন ফি।
যোগাযোগ করা হলে শিক্ষা সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর হার এক হবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে শিক্ষার মান, ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রসারের মাধ্যমে তা বাড়ানো সম্ভব। আমরা চাই, সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়ন করে ন্যূনতম শিক্ষার্থী হার পূরণ করুক। অনুমোদনের শর্ত পূরণে কেউ ব্যর্থ হলে ইউজিসি প্রাথমিক পদক্ষেপ নেবে। তার পরও কাজ না হলে মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’